ইসরা ও মিরাজ : শিক্ষা ও করণীয় (১ম পর্ব- ইসরা)

মিরাজ আরবী ‘উরুজ’ শব্দ হতে উদ্ভুত। এর অর্থ উর্ধ্বারোহনের মাধ্যম বা সোপান বা সিঁড়ি। ইসলামী পরিভাষায় হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর মক্কা শরীফের হাতিমে কাবা থেকে মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস উপস্থিতি এবং সেখান থেকে সপ্তাকাশে ভ্রমণ করে আল্লাহর সান্নিধ্যে হাজির হওয়ার ঘটনাকে মিরাজ বলে। উক্ত ঘটনাটি দু’টি অংশে বিভক্ত। রাসূল সা.-এর হাতিমে কাবা থেকে রাত্রিকালে মসজিদে আকসা পর্যন্ত পৌঁছাকে ‘ইসরা’ বলে। আর মসজিদে আকসা থেকে সপ্তাকাশসহ সৃষ্টি জগতের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ভ্রমণকে ‘মিরাজ’ বলে। তবে সাধারণত ইসরা ও মিরাজ উভয় ঘটনাকেই ‘মিরাজ’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা ভ্রমণ করিয়েছিলেন। যার পরিবেশ আমি বরকতময় করেছিলাম তাঁকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য। তিনিই র্সবশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ {সূরা ১৭ বনি ইসরাইল, আয়াত-১}

উল্লেখিত আয়াত দ্বারা ‘ইসরা’ (রাত্রিভ্রমণ) প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। আর ‘মিরাজ’ আল-কুরআনের সূরা ‘আন-নাজম’-এর ১৩-১৮ নং আয়াত দ্বারা পরোক্ষভাবে প্রমাণিত। তিনি (মুহাম্মাদ) তাঁকে (জিবরাইলকে) আরেক বার (মিরাজে পূর্ণ অবয়বে) সিদরাতুল মুনতাহার নিকটে দেখেছিলেন। যার নিকট জান্নাতুল মাওয়া অবস্থিত। যখন বৃক্ষটি যদ্দারা আচ্ছাদিত হওয়ার তদ্দারা আচ্ছাদিত ছিল। তাঁর দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি এবং লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি। তিনি তো তাঁর প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিলেন। {সূরা ৫৩ নাজম, আয়াত-১৩-১৮} সিদরাতুল মুনতাহা-এর আভিধানিক অর্থ হল, সেই বদরিকা বৃক্ষ, যা শেষ প্রান্তে অবস্থিত। সাধারণ ফেরেশতাগণের গমনাগমণের এটাই শেষ সীমা। হযরত জিবরাইল আ. এখানেই অবস্থান করেন। উর্ধ্ব জগতের বিধি-বিধান নিম্নে অবতরণ এবং পৃথিবীর আমল ও কাজ-কর্ম উধ্ব জগতে প্রেরণ সিদরাতুল মুনতাহা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। এটা সপ্তম আসমানে অবস্থিত। এখানেই সর্বজগতের জ্ঞান নিঃশেষ ও পরিসমাপ্ত। এর ওপারে যা কিছু রয়েছে, সে বিষয়ে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ কিছু জানে না। (আল্লামা আলুসী রহ., রূহুল মাআনী, বৈরুত, খন্ড-১৫, পৃষ্ঠা-১)

হাদীস শরীফে ‘ইসরা’ ও ‘মিরাজ’ সম্পর্কে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে, সংক্ষিপ্ত কলেবরে তা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
ইসরা ও মিরাজের তারিখ প্রসঙ্গে অধিকতর প্রসিদ্ধ অভিমত হল নবুওতের একাদশ সনের রজব মাসের ছাবিবশ তারিখ দিবাগত রাত্রি। সচরাচর এই রাতে চন্দ্রের আলো থাকে না। হুজুর সা.কে মহান আল্লাহ যেমনিভাবে ‘উম্মী’ তথা নিরক্ষর অবস্থায় রেখে কুরআন কারীমের মত শ্রেষ্ঠ মুজেযা দান করেছেন, অনুরূপভাবে চাঁদের আলোহীন রাতের ঘন অন্ধকারে ভ্রমণ শেষে সৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে হুজুর সা.-এর শেষ নবী হওয়ার প্রমাণ দিয়েছেন।মিরাজ ও ইসরার ঘটনা পবিত্র কুরআনে সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণিত হলেও বিভিন্ন হাদীসে তার বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। হাদীসের বর্ণনা বহির্ভূত অনেক জাল ও মিথ্যা কথাও আমাদের দেশে ইসরা ও মিরাজের নামে চালু আছে। ঐ সমস্ত জাল কথা ও বানোয়াট মনগড়া বিভিন্ন রকমের নামায ও ইবাদত থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। ইসরা সম্পর্কিত বিভিন্ন হাদীসের সার সংক্ষেপ নিম্নে প্রদত্ত হল।

এক রাতে রাসূল সা. উম্মে হানী রাযি.-এর গৃহে শায়িত ছিলেন। তখনও পূর্ণ নিদ্রায় গমন করেননি। সহসা ঘরের ছাদ বিদীর্ণ করে অবতরণ করলেন জিবরাইল আ.। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাতীমে কাবায়। তিনি সেখানে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। হযরত জিবরাইল ও মিকাইল আ. তাঁকে জাগিয়ে যমযমের কূপের পার্শেব নিয়ে গিয়ে বক্ষ বিদারণ করে কলব মোবারক বের করে যমযমের পানি দ্বারা ধৌত করে ঈমান ও হিকমত দিয়ে পূর্ণ করে পুনরায় বক্ষে স্থাপন করে দিলেন। তারপর দুই কাঁধের মধ্যভাগে মহরে নবুওত এঁটে দেয়া হল। তারপর খচ্চর অপেক্ষা ছোট এবং গাধা অপেক্ষা বড় ‘বোরাক’ যা বিদ্যুৎগতি সম্পন্ন একটি জান্নাতী বাহন। তার একটি কদম পড়ে দৃষ্টির শেষ প্রান্তে। সেই বোরাকে আরোহন করে শুরু হল ইসরা’র সেই স্মরণীয় যাত্রা। সঙ্গে ছিলেন হযরত জিবরাইল ও মিকাইল আ.। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, জিবরাইল আ. নবী কারীম সা.কে বোরাকে আরোহন করিয়ে তিনি নিজেও তাঁর পেছনে বসেছিলেন। {সীরাতে মুস্তফা উর্দু, ইদরিস কান্দলবী রহ., ১/২৯০}

পথিমধ্যে খর্জুর বৃক্ষরাজি দৃষ্টিগোচর হলে জিবরাইল আ. বললেন, এখানে অবতরণ করে দু’রাকাত নফল নামায আদায় করুন। তিনি নামায আদায় করলে জিবরাইল আ. বললেন, আপনি জানেন কি, আপনি কোথায় নামায আদায় করলেন? হুজুর সা. বললেন, না। জিবরাইল আ. বললেন, আপনি ইয়াসরিব অর্থাৎ পবিত্র মদীনায় নামায আদায় করলেন। যেখানে আপনি হিজরত করবেন। পুনরায় যাত্রা শুরু করে একটি পাহাড়ে অবতরণ করে পুনরায় নামায পড়তে বলায় হুজুর সা. নামায আদায় করলেন। জিবরাইল আ. বললেন, আপনি সীনা উপত্যকায় তূর পাহাড়ে নামায আদায় করলেন। এখানে আল্লাহ তাআলা মূসা আ.-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এখানে একটি বৃক্ষও ছিল। পুনরায় আরেকটি প্রান্তরে অবতরণ করে নামায আদায় করতে বলায় রাসূল সা. নামায আদায় করলেন। জিবরাইল আ. বললেন, আপনি মাদায়েন প্রান্তরে নামায পড়লেন। এখানে শুয়াইব আ.-এর বাসস্থান ছিল। পুনরায় আরেক স্থানে পৌঁছে নামায পড়তে বলায় হুজুর সা. নামায আদায় করলেন। জিবরাইল আ. বললেন, আপনি বাইতুল লাহাম অর্থাৎ যেখানে ঈসা আ. জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে নামায আদায় করলেন।

পথিমধ্যে আরো যেসব ঘটনা ঘটেছিল, তন্মধ্যে এক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা হুজুর সা.কে ডাকলে জিবরাইল আ. বললেন, আপনি ওদিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না, সামনে চলুন। ঐ বৃদ্ধ হল শয়তান, আর বৃদ্ধা হল দুনিয়া। পথিমধ্যে এমন কতকগুলো লোক হুজুর সা. দেখতে পেলেন, যাদের নাসিকা ও নখ তামার। তারা নিজেদের নখ দ্বারা স্বীয় বক্ষ ও অবয়ব খামছাচ্ছিল। তিনি এর হেতু জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা মানুষের গীবত করত। কিয়ামত পর্যন্ত এদের সাথে এমন আচরণই করা হবে। অনুরূপভাবে পথিমধ্যে এক রক্তের নদীতে এক ব্যক্তিকে হাবুডুবু খেতে দেখলেন। সে কিনারে আসতে চাইলে তাকে পাথর মেরে পুনরায় রক্তের নদীর মাঝখানে ঠেলে দেয়া হচ্ছিল। এর কারণ জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, সে হল সুদখোর। তার সঙ্গে এমন আরচণই করা হবে। পুনরায় একদল লোকের সাথে দেখা হল, যারা ক্ষেতে যেদিন বীজ বপন করছিল, সেদিনই ফসল ভরে উঠছিল। হুজুর সা. এদের অবস্থা জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা আল্লাহর পথে জিহাদকারী। তাদের একটি সাওয়াব সাতশত সাওয়াবে রূপ নেয় এবং এরা যা কিছু দুনিয়াতে খরচ করেছে, মহান আল্লাহ স্বীয় নেয়ামত দ্বারা তার প্রতিদান পূর্ণরূপে দান করেছেন।
পথিমধ্যে আরেক সম্প্রদায়ের সাথে দেখা হল, যাদের মাথা পাথরের আঘাতে চুর্ণ করা হচ্ছিল এবং পুনরায় মাথা আগের মতই হয়ে যাচ্ছিল। হুজুর সা. কারণ জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা ফরজ নামাযের ক্ষেত্রে গড়িমসি করত। এবার এমন একদল লোকের সঙ্গে সাক্ষাত হল, যাদের লজ্জাস্থান একখন্ড বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত। তারা উট ও গরুর মত জাহান্নামে বিচরণ করছে এবং জাহান্নামের যাক্কুম বৃক্ষ ও পাথর ভক্ষণ করছিল। হুজুর সা. কারণ জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা স্বীয় সম্পদের যাকাত আদায় করত না। পথিমধ্যে আরো কিছু লোক দেখা গেল, যাদের সামনে এক পাত্রে রান্না করা গোশত এবং অপর পাত্রে কাঁচা ও পঁচা গোশত রক্ষিত ছিল। তারা রান্না করা গোশতের পরিবর্তে কাঁচা ও পঁচা গোশত ভক্ষণ করছিল। হুজুর সা. কারণ জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা আপনার উম্মতের মাঝে ঐ সকল নারী-পুরুষ, যারা আপন স্ত্রী বা স্বামী রেখে অপর নারী বা পুরুষের সাথে রাত্রি যাপন করত তথা ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিনী নারী-পুরুষ এরা।

অনুরূপভাবে পথিমধ্যে একটি কাষ্ঠখন্ডের নিকট দিয়ে তিনি গমন করছিলেন। সেটি প্রত্যেক অতিক্রমকারীর কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। জিবরাইল আ.কে এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন, এ কাষ্ঠখন্ডটি আপনার ঐ সকল উম্মতের দৃষ্টান্ত যারা পথের ধারে বসে দস্যুবৃত্তি করত। এরপর দেখলেন, কিছু লোক এক বোঝা কাঠ সংগ্রহ করেছে। তবে সেটি বহনের শক্তি তাদের নেই। তথাপি তারা তাদের বোঝা বৃদ্ধি করেই চলেছে। হুজুর সা. পরিচয় জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা আপনার উম্মতের ঐসব ব্যক্তি, যারা মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে না, এরপরও তারা অধিক আমানত নিজের উপর চাপিয়ে নেয়।
অনুরূপভাবে পথিমধ্যে কিছু লোকের জিহবা ও ঠোট কাঁচি দ্বারা কাটা হচ্ছিল। কাটা শেষ হলে আবার তা আগের মত হয়ে যায়, আবার তা কাটা হয়। হুজুর সা. তাদের পরিচয় জানতে চাইলে জিবরাইল আ. বললেন, এরা ঐসব বক্তা, যারা অপরকে আমল করতে বলত, অথচ নিজেরা আমল করত না। অনুরূপভাবে পথিমধ্যে একস্থানে সুশীতল, সুগন্ধ বাতাস বইছিল। জিবরাইল আ. বললেন, এটা জান্নাতের হাওয়া। অন্যস্থানে অত্যন্ত দূর্গন্ধময় গরম বাতাস বইছিল, জিবররাইল আ. বললেন, এটা জাহান্নামের বাতাস
বর্ণিত ঘটনাসমূহ উর্ধ্বজগতে আরোহণের পূর্বেই প্রদর্শিত হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেছেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ আল্লামা ইদরিস কান্দলবী রহ. স্বীয় ‘সীরাতে মুস্তফা’ কিতাবে। তিনি বলেন, এসব বর্ণনা এমন সব হাদীস দ্বারা বর্ণিত, যা দ্বারা অনুমিত হয় যে, এসকল ঘটনা বোরাকে আরোহনের এবং মসজিদে আকসায় অবতরণের পূর্বেই দেখানো হয়েছিল।
এ পর্যন্ত গেল ‘ইসরা’-এর বর্ণনা। উল্লেখিত ঘটনাবলী থেকে আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হল, কোথাও সফরের পূর্বে একটু ঘুমিয়ে আরাম করে নেয়া উচিত। কেননা, হাতিমে কাবায় পৌঁছে হুজুর সা. আবারও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তারপর পথিমধ্যে হুজুর সা. কর্তৃক বিভিন্ন স্থানে নামায আদায় করার বর্ণনা দ্বারা বোঝা যায় যে, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে আল্লাহর নিদর্শনাবলী দেখে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এবং মহান আল্লাহর শুকরিয়া তথা তাঁর ইবাদতের প্রতি ধাবিত হওয়া উচিত।উল্লেখিত ঘটনায় গীবত করা, সুদ খাওযা, ফরয নামাযে গড়িমসি করা, যাকাত আদায় না করা, ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া, দস্যুবৃত্তি করা, আমানতের খেয়ানত করা, নিজে আমল না করে অপরকে বড় বড় কথা বলা, ইত্যাদি গুনাহ থেকে বিরত থাকতে ‘ইসরা’ আমাদের শিক্ষা দেয়।

অনুরূপভাবে কোথাও সফরের সময় একা বের না হয়ে দুই একজনকে সফরসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। এই ইসরার সফরের পূর্বে হুজুর সা.-এর বক্ষ বিদারণের দ্বারা আমাদের জন্য শিক্ষা হল, কোথাও সফরের পূর্বে গুনাহমুক্ত থাকার সংকল্প করা এবং আল্লাহর যিকিরে থাকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। সফরে যাওয়ার পূর্বে দুই রাকাত নামায আদায় করা। হুজুর সা.-এর জন্য বোরাকের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সরাসরি ফেরেশতা কর্তৃক উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া যেত। তথাপি বোরাকের ব্যবস্থা গ্রহণ দ্বারা আমাদের জন্য শিক্ষা হল, সফরের পূর্বে সফরের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যবস্থা গ্রহণ করা তাকওয়ার পরিপন্থী নয়। সফরের সময়ে হুজুর সা. কর্তৃক বিভিন্ন ঘটনাবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার দ্বারা আমাদের জন্য শিক্ষা হল, সফরের উদ্দেশ্যই হবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য, দ্বীনের জন্য। রং তামাশা আর আনন্দ ভ্রমণের জন্য নয়। মহান আল্লাহ বলেন- ‘(হে নবী, আপনি) বলে দিন, তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ কীভাবে তিনি সৃষ্টির সূচনা করেছিলেন, তারপর আল্লাহই আরেকবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’ {সূরা ২৯ আনকাবুত, আয়াত-২০}

লেখক,মাওলানা কাজী ফজলুল করিম।
মুহাদ্দিস ও খতীব, কারবালা মাদরাসা, বগুড়া।

Leave a Comment